আপনিও হতে পারেন উদ্যোক্তা
ইচ্ছার কাছে কোন কিছু অসম্ভব নয়। তাই প্রবল আগ্রহকে শ্রেষ্ঠ্যত্বের জনক বলা হয়। ইচ্ছাটাকে লালন করেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমি কি হতে চাই। যদি জীবনের উদ্দেশ্য থাকে তাহলে উদ্দেশ্য সিদ্ধির আবেগও থাকবে। তাই জীবন যুদ্ধে প্রথমে উদ্দেশ্য স্থির করুন, তারপর আবেগ ও অধ্যবসার নিয়ে লক্ষ্যের পথে অগ্রসর হন।
আপনি আপনার সফলতার জন্য কি করবেন, কি হবেন সে সিদ্ধান্ত আপনার। হতে পারেন উদ্যোক্তা, শিক্ষক, ডাক্তার, ইন্জ্ঞিনিয়ার ইত্যাদি। কিন্তু একজন উদ্যোক্তার কাছে এসব কিছুই না। মনে করেন আপনি একজন শিক্ষক হলেন, শিক্ষক হয়ে শত শত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দান করালেন কিন্তু আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হন এবং স্কুল প্রতিষ্ঠান করেন তাহলে সেখানে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহনের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। একটি দেশে যতবেশি উদ্যোক্তা তৈরী হবে সে জাতি তত তাড়াতাড়ি উন্নয়ন লাভ করতে পারবে। আগামী দিনে এই উদ্যোক্তারাই বিশ্ব পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারন তারা শুধু নিজে কাজ করে না, অনেক লোকের কাজের সুযোগ করে দেয়। তাদের শ্লোগান হল,” চাকরি করব না, চাকরি দিব”।ইচ্ছা করলেই ত আর উদ্যোক্তা হওয়া যায় না, যার জন্য প্রয়োজন কিছু বৈশিষ্ট্য। তার মধ্যে ৫ টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ—
১) স্বপ্নের সঙ্গে হাটুঁন:
আপনি কখনই সফল হতে পারবেন না, যদি আপনি আপনার কাজকে না ভালোবাসেন।ধনকুবের ওয়াবেন বাফেট বলেন,” যে কোন কাজে সফল হতে হলে সেই কাজের প্রতি আসক্তি বা ভালোবাসা থাকতে হবে। অল্প আগুন যেমন অনেক উওাপ দিতে পারে না, তেমনি দুর্বল ইচ্ছাশক্তি কখনও সফলতা এনে দিতে পারে না।
২) সৃজনশীলতা বাড়ানো :
আপনি কত দ্রুত সফল হবেন তা নির্ভর করে আপনার কাজের সৃজনশীলতার উপর।একটি কাজ তখনই সবার মাঝে গ্রহন যোগ্য, অন্যদের থেকে আলাদা হবে যখন সেই কাজের মাঝে সৃজনশীলতা থাকবে। তাই একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজে সৃজনশীলতা নিয়ে আসতে হবে।
৩) ঝুঁকি নিন :
একজন উদ্যোক্তাকে জীবনে সফল হতে চাইলে তাকে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। তবে কখনও জোয়া খেলার মত ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। ঝুঁকি নেওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, জ্ঞান, অর্জন, নিজের আত্মবিশ্বাস ও যোগ্যতা তৈরী করতে হবে। ঝুঁকি যদি না নেন, তাহলে মনে রাখবেন, আজ আপনি যা আছেন দশ বছর পরও তাই থাকবেন।
৪) হতাশ না হওয়া :
নতুন যে কোন কাজের ক্ষেত্রেই এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যা আপনাকে হতাশ করে দিতে পারে। ব্যর্থতার ভয় ব্যর্থতার থেকেও আরও খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ব্যক্তি জীবনে যে কখনও ব্যর্থতার স্বাদ পায়নি, সে কখনও সফল ব্যক্তি হতে পারে না। ব্যর্থতা ছাড়া সফল হয়েছে এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। অল্প পরিশ্রমের ভালোবাসা যেমন বেশীদিন টিকে না তেমনি ব্যর্থতা ছাড়া সেই সফলতাও বেশি দিন টিকবে না।
৫) আস্থা রাখুন:
আপনি যদি আপনার কাজের উপর আপনি বিশ্বাস রাখতে না পারেন, তা হলে অন্য জন কিভাবে রাখবে? যাদের দৃঢ় বিশ্বাসের অভাব আছে তারা হচ্ছে মধ্যমপন্থী। আর যারা মাঝ রাস্তা দিয়ে হাটে তাদের কি হয়? গাড়ির চাপা পড়ে।