গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক দুই ঘন্টা নীরব থাকলে মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসে নতুন সেল তৈরি এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হিপ্পোক্যাম্পাসকে আবেগ, স্মৃতি এবং শিক্ষণের কেন্দ্র মনে করা হয়। তাই আমরা বলতে পারি, আবেগ, স্মৃতি এবং শিক্ষণের সাথে নীরবতার গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
২) ব্রেনকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে
গবেষণার তথ্য মতে, নীরবতা একজন ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভাকে দৃষ্টিগোচর করতে সাহায্য করে।
আমরা যখন নীরব থাকি, তখন আমাদের মেমোরি অতি সহজে তথ্যগুলোকে একত্র এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করে। শর্ট টার্ম মেমোরি থেকে তথ্যগুলোকে লং টার্ম মেমোরি তে স্থানান্তর করে।
৩) মনোযোগ বৃদ্ধি করে
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিঃশব্দতা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বিষ্ময়করভাবে বাড়িয়ে দেয়।
আমরা যখন নীরব থাকি তখন আমাদের ব্রেন একসাথে কয়েকটি কাজের প্রতি মনোযোগ স্থাপনা করে শুধু একটি কাজের প্রতি মনোযোগ স্থাপিত হয়। যার ফলে, অন্য আরেকটি কাজ থেকে এই কাজটি অনেক ভালভাবে করতে পারি।
“নীরবতা হচ্ছে স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়”
ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের মতে, অপ্রয়োজনীয় শব্দ স্ট্রেস, অনিদ্রা এবং টেনশন ডেকে আনে। তাই স্ট্রেস এবং টেনশন থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে কিছু সময় নীরব থাকতে হবে।
নীরবতা হার্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যখন অতিরিক্ত কথা বলি বা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে থাকি তখন আমাদের রক্ত চাপ এবং
হৃদকম্পন বৃদ্ধি পায়, যা উভয়ই হার্টের রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আমরা যদি অতিরিক্ত কথা বলি বা কোলাহলময় পরিবেশে থাকি, তাহলে মস্তিষ্কে মারাত্মক চাপ পড়ে যাবে। যার ফলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কোষগুলো ক্ষয় হতে থাকবে। তাই আমাদের দৈনিক কিছু সময় হলেও নীরব থাকা প্রয়োজন।।
Murad Ansary