কমন মিসটেকস অফ জব ইন্টারভিউ
যেকোন চাকরিক্ষেত্রে ইন্টারভিউ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ।আপনার জীবন-বৃত্তান্ত বা সিভি আপনাকে ইন্টারভিউ অবধি নিয়ে যেতে পারে, আর ইন্টারভিউ আপনাকে চাকুরী পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। আপনার সম্ভাব্য চাকরীদাতাকে আপনার এমনভাবে ইম্প্রেস করতে হবে যেন তিনি মনে করেন যে কোম্পানি আপনাকেই খুজছে।আপনি জানেন আপনার ব্যক্তিত্ব এবং ক্ষমতা অনুযায়ী কি কি করা প্রয়োজন।এখানে ইন্টারভিউ সাফল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোন কোন বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে তা উল্লেখ করা হলো:
১.সময়ানুবর্তী না হওয়া:
আপনার চাকুরীর ইন্টারভিউতে দেরী করবেন না।বরং, ১0-১৫ মিনিটে আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন যেন আপনার ইন্টারভিউ এর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন।নতুবা শুরুতেই অাপনার প্রতি ইন্টারভিউয়ারের একটা নেতিবাচক ধারণা হবে।এবং আপনারও আত্নবিশ্বাস কমে যাবে।
২.ড্রেসকোড মেইনটেইন না করা:
ইন্টারভিউ এর জন্যে জন্য উপযুক্ত পোষাক পরিধান করুন। অত্যধিক খোলামেলা, বা খুব বেশী গয়না, অথবা অদ্ভুত রং যেন ব্যবহার করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩.স্নায়বিক অস্থিরতায় ভোগা:
আপনি চেষ্টা করবেন ইন্টারভিউ এর আগে এবং ইন্টারভিউ এর সময় স্নায়বিক অস্থিরতায় না ভুগতে। এটি বিক্ষেপী ও অস্থিরতা এবং উদ্বেগ তৈরী করে। কোন নিয়োগকর্তা একজন স্নায়বিক অস্থির সহকর্মী চান না।
৪.দয়াকরে তাড়াতাড়ি করবেন:
দয়াকরে তাড়াতাড়ি করবেন, আমার অন্য একটা ইন্টারভিউ আছে- এ ধরনের কথা কখনোই বলা যাবে না। আপনার চাকরির যতই প্রয়োজন হোক, ইন্টারভিউতে এ কথার অর্থ সেখানেই আপনার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা শেষ।
৫.বারবার ঘড়ি দেখা:
ইন্টারভিউ এর মাঝখানে আপনার ঘড়ি বা দেওয়ালঘড়ি এর প্রতি নজর না দেওয়ার প্রতি সতর্ক থাকুন। সাক্ষাত্কারের পূর্বে আপনার ঘড়িটি বন্ধ করে নিতে পারেন যেন ইন্টারভিউ এর সময় দূর্ঘটনাক্রমে আপনার চোখ ঐদিকে না যায়।
৬. ফোন বন্ধ না রাখা:
আপনার ফোনটি বন্ধ কিনা ইন্টারভিউ এর পূর্বে তা নিশ্চিত করুন। ইন্টারভিউ এর সময় মুঠো ফোন এর বাজনা শোনার মতো বিরক্তিকর আর কিছুই নয়।
৭.কলম নিতে ভুলে যাওয়া:
ইন্টারভিউয়ার যখন আপনাকে কিছু লিখতে বলেন, আর তখন যদি আপনি কলম খোজাখুজি শুরু করেন অথবা যদি বলেন যে অাপনি কলম আনতে ভুলে গেছেন। আপনার প্রতি ইন্টারভিউয়ারের একটি নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে।এবং আপনার এই ভুলটি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় বহন করে।কোম্পানি নিশ্চয় এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের উপর ভরসা করবেনা।
৮.ভাষা ঠিক না রাখা:
ইন্টারভিউয়ার যদি আপনাকে বাংলায় প্রশ্ন করে,আপনি অবশ্যই বাংলায় উত্তর দিবেন।তখন যদি আপনি আপনার স্মার্টনেস দেখাতে গিয়ে ইংরেজিতে উত্তর দিতে যান তবে সেটা কিন্তু ওভার স্মার্টনেস হয়ে যাবে।কিন্তু ইন্টারভিউয়ার যদি ইংরেজিতে প্রশ্ন করে, আর আপনি যদি ইংরেজিতে দুর্বল হন।সেক্ষেত্রে আপনি বিনয়ের সাথে সেটা বলুন এবং বাংলায় কথা বলার জন্যে অনুমতি চেয়ে নিন।
৯.আন্ঞলিকতা পরিহার করুন:
ইন্টারভিউতে পেশাদারি ভাষা ব্যবহার করুন, কাউকে হেয় করার মতো কোন কথা ব্যবহার করবেন না। ধর্ম, রাজনীতি, জাতি ইত্যাদি কোন বিষয় নিয়েই আপনি কটাক্ষপূর্ন কোন কথা বলবেন না। এই বিষয়গুলো আপনাকে ইন্টারভিউয়ের বাইরে রাস্তাটা সহজেই দেখিয়ে দিবে।
১০.চোখে চোখ রেখে কথা বলুন:
যেকোন ইন্টারভিউ অথবা প্রেজেন্টেশন দেয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই সকলের সাথে আই কন্ট্যাক্ট বজায় রাখতে হবে।তা নাহলে ইন্টারভিউয়ার ভাববে আপনি ভয় পাচ্ছেন বা আপনি আত্নবিশ্বাসী নন।
আর অবশ্যই ভারসাম্য বজায় রেখে সকলের চোখের দিকেই তাকাতে হবে।এতে আপনার সকলের প্রতি সমভাবে সম্মান প্রদর্শন করাও হবে।
১১.যখন নিজের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়:
যেকোন ইন্টারভিউতে এই কমন প্রশ্নটি করা হয়।কিন্তু এই কমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একটা কমন ভুল আমরা সবাই-ই করি। আমরা শুরু করি এভাবে… আমার নাম…., আমার স্কুল….,আমার কলেজ….,আব্লা-ব্লা…।যেটা আপনি আপনার রিজুমি বা সিভিতে লিখেছেন এবং ইন্টারভিউয়ার ইতোমধ্যে এই তথ্যগুলো জেনে গেছেন। সুতরাং,এমন কিছু উত্তর দিন যেটা আপনার রিজুমি বা সিভিতে নেই।যেমন, আমি একজন বিতার্কিক…আমি ওমুক প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছি…আমি কন্টেন্ট ডিজাইন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, টিম বিল্ডিং, অর্গানাইজিং, মেন্টরিং, ক্রিয়েটিভ চিন্তা, নেতৃত্ব প্রদান… এই এই কাজে দক্ষ। আপনি আপনার উদ্দশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করুন।তবে মনে রাখবেন, যেকোন ইন্টারভিউতে এই প্রশ্নের উত্তরটি দেওয়ার জন্যে আপনাকে মাত্র ১-২ মিনিট সময় দেয়া হবে।যারা ইতিমধ্যে কোন কোম্পানিতে কাজ করেছেন তাদের জন্যে বলবো, আপনি আপনার পূর্বের কোম্পানি বা চাকরীস্থল সম্পর্কে আপনার সাফল্য নিয়ে আলোচনা করুন।আপনি আপনার সম্ভাবনাকে প্রকাশ করুন।
ইন্টারভিউয়ারদের বোঝাতে চেষ্টা করুন যে, আপনিই সেই ব্যক্তি যাকে ওই কোম্পানিটি খুজছে।
১২.মিথ্যা বলা:
যদিও চাকুরীর ইন্টারভিউতে এটি কমন যে আপনার জীবনবৃত্তান্ত বিস্তারিতভাবে ব্যাখা করবেন, তথাপি কোন মিথ্যা তথ্য প্রদান করা নিতান্তই ভুল। সততা একজন কর্মীর সবচেয়ে বড় গুণমান এবং একজন নিয়োগকর্তা ইন্টারভিউত আপনার সত্য ও সততাকে সম্মান করবেন। আপনি কোথাও কাজ না করে থাকলে এই ধরনের কিছু আছে বলে দাবি করবেন না।
১৩.আপনি পূর্বের চাকরিটি কেন ছেড়েছেন?
কখনোই বলবেন না যে,আমার বস্ খারাপ ছিল..ম্যানেজমেন্ট ভালো ছিলনা..আমার সহকর্মীরা অ্যাকটিভ ছিলনা..আমার এই এই প্রবলেম ছিল।এই সমস্ত কথা আপনার নেতিবাচক দিকগুলোরই প্রতিনিধিত্ব করে।এতে সরাসরি এটাই প্রমাণিত হয় যে, আপনি গ্রুপে কাজ করতে পারেন না,জটিল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারেন না,আপনি প্রোঅ্যাক্টিভ নন।আপনি কি মনে করেন যে কোনও সাক্ষাত্কারে অন্য কোম্পানির সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলার পরে আপনাকে নিবে?কে জানে আপনি ভবিষ্যতেও এই কোম্পানির সম্পর্কে খারাপ কথা বলবেন না? সুতরাং নেতিবাচক বিবৃতিগুলো অবশ্যই বর্জন করুন।বরং আপনি আপনার লক্ষ্য, সম্ভাব্য, দৃষ্টি, সুযোগ ইত্যাদি সম্পর্কে বলুন। উদাহরনস্বরুপ: আমি এই সেক্টরে কাজ করতে চাই।এই সেক্টরটা সম্পর্কে আমার যথেষ্ট জ্ঞান আছে বলে আমি মনে করি।এতে আপনার কোম্পানিরও অবমাননা করা হবেনা এবং আপনারও ইমেজ নষ্ট হল না।
১৪.কোম্পানি সম্পর্কে জেনে না যাওয়া:
এটি খুব বড় ভুল হবে যদি আপনি ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার আগে ঐ কোম্পানির বিষয়ে সবকিছু জেনে না যান।তাই ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার আগে তাদের ওয়েবসাইট দেখুন, লিংকডইন বা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কিং থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।কোম্পানীর সম্পর্কে জানুন।নতুবা এটা আপনার প্রত্যাখ্যানের কারণ হতে পারে।
১৫.নিজের দক্ষতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে:
আপনি কি নিজেকে সফল ব্যক্তি মনে করেন? এর উত্তরে কখনোই সরাসরি হ্যা বলবেন না। দয়া করেমনে রাখবেন, আপনাকে আপনার বিবৃতির সমর্থন করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, বলুন যে আপনি সাফল্যের সাথে আপনার চূড়ান্ত বছরের প্রকল্পটি করেছেন, আপনি আপনার এলাকার রাস্তা পুনঃনির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং সফলভাবে কাজটি করতে পেরেছেন,আপনি বিতর্কে প্রথম হয়েছিলেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
১৬.যখন আপনার দুর্বল দিকগুলো জানতে চাওয়া হয়:
চাকরী না পাওয়ার ভয়ে আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে আপনার কোন খারাপ দিক নেই। আপনি একদম পারফেক্ট। তবে সেটা হবে আপনার সবচেয়ে বড় ভুল।তাই ভেবে উত্তর দিন। অাপনার নেতিবাচক দিকগুলোই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বলুন।যেমন আপনার বলতে পারেন যে আপনি অতিমাত্রায় বাস্তববাদী। এবং এর পিছণে যুক্তি দিন।
১৭.ভুল করে কিছু বলাঃ
এই ভুলগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হলেও, মানুষ প্রায়ই এগুলো করে থাকে।মানুষ দূর্ঘটনাক্রমে ভুল জিনিস বা ভুল ধারণা করে থাকে, কোন কোন ক্ষেত্রে কাউকে ছোট দেখানো অথবা হেয় প্রতিপন্ন করার মতো ভুলগুলো করে থাকে।এই ধরনের যেকোন একটি ভুল আপনাকে নিক্ষেপ করতে পারে ইন্টারভিউ এর বাইরে।সুতরাং যথাসম্ভব বুদ্ধিমত্তার এবং বিবেচনার সাথে সাথে আপনি যা বলছেন তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
১৮.প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো দিতে ভুল করা:
চাকুরীদাতার যখন নির্দিষ্ট কোন সময়কে উল্লেখ করে আপনার সর্ম্পকে বলতে বলছেন, সেটাকে অবশ্যই আপনি যত্নের সাথে উত্তর দিবেন। উদাহরনসহ উল্লেখ করার চেষ্টা করুন কারন এখানে আপনি নিজেকে উপস্থাপন করার, আপনার সামর্থ এবং যোগ্যতাকে বলার একটা ভালো সুযোগ পাচ্ছেন, তাই কিছুতেই সেটাকে হেলায় হারাবেন না।
১৯. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা:
চাকুরীদাতার যতটুকু জানার প্রয়োজন তার থেকে বেশী বলার চেষ্টা বড় একটা ভুল। অনেক সময় নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য একটু বেশী বলা হয়ে যায় কিন্তু পরবর্তীতে মনে হয়, ‘এটা কেন বললাম’? তাই কতটুকু বলবেন তার অনুশীলনটুকু বাসাতেই সেরে নিন। চাকুরীর যোগ্যতায় কি কি চাওয়া হয়েছে আর আপনার কোন কোন দক্ষতা আছে তার একটা ভারসাম্যপূর্ন উত্তর তৈরি করুন। কি বলবেন তার তালিকা করে সেই অনুযায়ী চর্চা করুন, দেখবেন ইন্টারভিউতে প্রয়োজনীয় কথাগুলো আপনি বলতে যেমন ভুল করবেন না ঠিক তেমনি অপ্রয়োজনীয় কথাও আপনার বলার প্রয়োজন হবে না।
২০. যখন জানতে চাওয়া হয় আপনার কোনপ্রশ্ন আছে কিনা:
চাকুরীদাতা যদি জানতে চান আপনার কোন প্রশ্ন আছে কিনা আর আপনি যদি বলেন, “না” তাহলে সেটা ভুল উত্তর। আগের থেকেই তৈরি হয়ে যাবেন যে চাকুরীদাতা আপনাকে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ দিলে আপনি কি কি প্রশ্ন করবেন। আপনার প্রশ্নের ধরন যেমন চাকুরীদাতাকে আপনার পেশাদারিত্ব সর্ম্পকে ধারনা দিবে ঠিক তেমনি প্রশ্ন করার মাধ্যমে আপনিও প্রতিষ্ঠান সর্ম্পকে অনেক কিছু জেনে নিতে পারবেন যা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে যে চাকুরীটা হয়ে গেলে এই প্রতিষ্ঠানটি আপনার জন্য কতটুকু যথোপযুক্ত।
২১.খুব তাড়াতাড়ি বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা:
ইন্টারভিউতে বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়, এটা সম্ভবত আপনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ণয় করা হয় একটি কোম্পানিতে কাজ করার সময়। অবশ্যম্ভাবীরূপে কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেতন এবং সুবিধা আপনাকে জানানো হবে।
২২.আপনাকে যেন চাকুরীর জন্য উন্মত্ত মনে না হয়:
আপনি যদি ইন্টারভিউতে বলতে থাকেন ‘প্লিজ আমাকে চাকুরী দিন, চাকুরীটা আমার খুব দরকার’ এই ধরনের আচরণ করেন তাহলে আপনাকে উন্মত্ত এবং কম আত্নবিশ্বাসী মানুষ মনে হবে। দেখা যাবে হয়তো এই চাকুরীটা আপনার হয়ে যেতো, শুধুমাত্র আপনার এই আচরণ প্রকাশ হওয়াতে চাকুরীদাতার কাছে আর আপনাকে উপযুক্ত মনে হয়নি। ইন্টারভিউয়ের সময় ৩টি জিনিস মনে রাখুন Cool, Calm and Confidence ।আপনি জানেন আপনি যোগ্য, আপনি পারবেন; এখন আপনার কাজ হলো চাকুরীদাতাকেও এই কথাটা বিশ্বাস করানো।
২৩.আমার চাকরিটা হবে?
ইন্টারভিউতে শুধু আপনি একাই আসেননি। আপনার আগেও এসেছেন, পরেও আসবেন।আপনার ইন্টারভিউ হওয়ার পরই যদি আপনি প্রশ্নকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন- চাকরিটা হবে কিনা, সেটা ঠিক নয়। যিনি ইন্টারভিউ নিয়েছেন তাকে একটু সময় দিন। কাজ খুঁজছেন এমন অনেক মানুষ আছে। শুধু টাকা চায় এবং কোম্পানী বা পেশা সম্পর্কে গ্রাহ্য করে না কেউ হিসাবে যদি আপনি সূচিত হন, তবে এটা দীর্ঘসুত্রিতায় আপনার বিরুদ্ধে কাজ করবে।
২৪.ছুটি কেমন পাবো?
আমি ছুটি কেমন পাবো? কাজের উপযুক্ত হওয়ার আগে ছুটির জন্য কেমন সময় দিতে হবে? ছুটির আগে অতিরিক্ত কত সময় দিতে হবে? এ ধরনের চাকরিপ্রার্থীদের কোন কারণ ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয় না। একই ধরনের কথা আপনার অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্যও বলা ঠিক নয়।
২৫.ধন্যবাদ না জানানো:
আপনার ইন্টারভিউ শেষ আর আপনি উঠে চলে এলেন।স্নায়বিক দুর্বলতা অথবা তাড়াহুড়োয় ইন্টারভিউয়ারকে ধন্যবাদ জানাতেও ভুলে গেছেন।এই ছোট্ট ভুলটি ইন্টারভিউয়ারের কাছে আপনার ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে দিতে পারে।তাই ইন্টারভিউ শেষে ইন্টারভিউয়ারকে হাসিমুখে ধন্যবাদ জানিয়ে আসবেন।
Jasmin Akter